কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাবার শ্রাদ্ধ শেষে ফেরার পথে পিকআপের চাপায় পাঁচ ভাই নিহতের ঘটনায় সেই চালককে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার চালকের নাম সাহিদুল ইসলাম ওরফে সাইফুল। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) ইমরান খান।
এএসপি ইমরান খান জানান, শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাটে পিকআপ চাপায় নিহত পাঁচ ভাইয়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার সকালে তাদের পৈতৃক বাড়িতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয়।
গত মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মালুমঘাট এলাকায় সদ্য প্রয়াত সুরেশ চন্দ্রের শ্রাদ্ধকর্ম সম্পন্ন শেষে ফেরার পথে পিকচাপায় তার পাঁচ ছেলে নিহত হন। এ সময় আহত হন সুরেশ চন্দ্রের আরও দুই ছেলে ও এক মেয়ে। আহতদের মধ্যে রক্তিম শীল চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে আছেন। নিহতদের বোন হীরা শীল মালুমঘাট খ্রিষ্টান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তার একটি পা কেটে ফেলা হয়েছে।
সকালে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান চলাকালে দেখা যায়, ১০ দিনের ব্যবধানে স্বামী ও পাঁচ ছেলেকে হারিয়ে নির্বাক মানু বালা শীল। শোক সামলে তাকেই শ্রাদ্ধানুষ্ঠান দেখভাল করতে হয়। শ্রাদ্ধের অংশ হিসেবে নিহত পাঁচ ভাইয়ের ছবি সামনে রেখে পূজার আয়োজন করা হয়। সদ্য বিধবা মা মানু বালা শীল এবং তার নিহত সন্তান অনুপম শীলের স্ত্রী পপি বালা শীল, নিরুপম শীলের স্ত্রী গীতা শীল, স্মরণ শীলের স্ত্রী কৃষ্ণা শীল, দীপক শীলের স্ত্রী পূজা শীল ও চম্পক শীলের স্ত্রী দেবী শীলের সঙ্গে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে অংশ নেন অনুপম শীলের শিশুসন্তান অর্ক শীল (৭), স্মরণ শীলের শিশুপুত্র অভি শীল (৪) ও দীপক শীলের শিশুপুত্র আয়ুশ (৬)।